বর্ধমান টিভি র খবরের জের - পুনরায় তৈরী হবে রাস্তা, পরিদর্শনে সভাধিপতি

1st November 2020 5:39 pm বর্ধমান
বর্ধমান টিভি র খবরের জের - পুনরায় তৈরী হবে রাস্তা, পরিদর্শনে সভাধিপতি


পার্থ ব‍্যানার্জী ও মহঃ খান ( জামালপুর ) : যতটা রাস্তা তৈরী হয়েছে তা আবার নতুন করে পিচ দিয়ে তৈরী হবে । বাকী রাস্তা সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে ভালোভাবে তৈরী করতে হবে । পূর্ব বর্ধমানের কোনো রাস্তা তৈরী সম্পর্কে কোনো অভিযোগ উঠলে তা বরদাস্ত করা হবে না । ওয়ার্ক অর্ডার মেনে এলাকাবাসীদের সাথে সম্পূর্ন সহযোগিতা করেই উন্নয়নের কাজ করতে হবে । পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বেরুগ্ৰাম পঞ্চায়েতের মাঠনসিপুর এ রাস্তা নির্মাণ ঘিরে বেনিয়ম এর অভিযোগ ওঠার পরেই পরিদর্শনে এসে সাফ জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া । বর্ধমান টিভি র পর্দায় খবর সম্প্রচারের পরেই প্রশাসনিক মহলে শুরু হয় তৎপরতা । রাস্তা তৈরী হতে না হতেই যেভাবে পিচের চাদর উঠে যায় এবং হাত দিয়ে টানলেই উঠছিল পিচের আস্তরণ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এলাকাবাসী । রোলার আটকে বন্ধ করে দেন তারা রাস্তা নির্মাণের কাজ । অবশেষে রাস্তা তৈরীতে যে " ট‍্যাকনিক‍্যাল ডিফেক্ট " হয়েছে তা স্বীকার করে নিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার সেখ মহঃ হোসেন । জেলা পরিষদের সভাধাপতি ছাড়াও ঘটনাস্থলে হাজির হন জামালপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মজুমদার , পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খান , জেলা বাস্তুকার , মহকুমা বাস্তুকার সহ অনান‍্য আধিকারিক । সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন , আরআইডিএফ  প্রকল্পে এই রাস্তা তৈরী হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার । এক কিলোমিটার মাত্র তৈরী হয়েছে । যা নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে তা যাতে মেরামত করা হয় তার জন‍্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । নিয়ম মাফিক কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি । এদিন ও গ্ৰামবাসীরা কিভাবে পিচ উঠে যাচ্ছে তা দেখান সভাধিপতিকে । হাত দিয়ে ধরলেই পিচ উঠছে । একাধিক প্রশ্ন ও তুলেছেন এলাকাবাসী এই নির্মান কাজের নজরদারি নিয়ে । স্থানীয় বাসিন্দা হারুন মল্লিক জানিয়েছেন , নিয়ম মেনেই যে কাজ হবার কথা বলেছেন প্রশাসনিক কর্তারা তা হোক । পাশাপাশি এই রাস্তা নির্মাণের পর তার স্থায়িত্বের সমস্ত দায়িত্ব নির্মানকারী সংস্থাকে নিতে হবে । রাস্তা যদি কোনভাবে তৈরীর কিছুদিনের মধ‍্যে খারাপ হয়ে যায় তাহলে ফের আন্দোলন হবে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।